A Simple Key For কবিতা, গল্প, গদ্য Unveiled

৩.কমলকলি, কবিতা সংকলন, ডিসেম্বর ২০২২ প্রকাশক: কৃষ্টি কিরণ (প্রকাশন বিভাগ) সিমলাপাল, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, পিন কোড ৭২২১৫১ আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

↑ "প্রথম আন্তর্জাতিক হাইকু কবি সম্মেলন এবং 'অনুভূতির কথায়' কৃষ্টিগত সাময়িকীর আত্মপ্রকাশ"। সাপ্তাহিক নতুন গতি। ৭–১৩ অক্টোবর ২০১৯। পৃষ্ঠা ১৩।  ↑ "বিশ্ব কবিতা দিবসে প্রথম পরমাণু কবিতা সম্মেলন, ১০৪ জনের একক গ্রন্থ প্রকাশ"। দৈনিক স্টেটসম্যান। ২৩ মার্চ ২০২১। পৃষ্ঠা ৬। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২১। 

ছন্দের ভিন্নতার জন্য কবিতা হয়ে ওঠেছে বিভিন্ন রকম। আমরা বাংলা কবিতার প্রধান তিন ছন্দ সম্পর্কে জানি। অক্ষর, মাত্রা ও স্বর এই তিন ছন্দের কবিতার জন্য কবিতাকে আমরা তিন রকম বলতে পারি। নদী যেমন চলতে চলতে পথ পরিবর্তন করে, গড়ে নেয় নিজের পথ। ঠিক তেমনি বাংলা ছন্দও কবিতার শরীর বেয়ে চলতে চলতে নতুন নতুন ছন্দ বানিয়ে নিয়েছে তার নিজের চলার পথকে সুগম করার জন্য। ঠিক এভাবেই আধুনিক যুগে কবিতার শরীরে এলো নতুন ছন্দ। যাকে আমরা বলেছি গদ্যছন্দ। গদ্যছন্দ দিয়ে লিখিত কবিতাই কি গদ্য কবিতা?

কবি হাফিজ রশিদ খান আশির দশক এর গোড়া হতে কাব্য জগতে সরব বিচরণ করে এখনো লিখে চলেছেন স্বমহিমায়। মূলত আদিবাসী জীবনের নিগূঢ় বিষয়গুলো কবিতায় ফুটিয়েছেন নিজের মেধা ও মনন দিয়ে। যাকে আমরা আদিবাসী কবি হিসেবে সহজে সনাক্ত করতে পারি। তার একটি কবিতার কিয়দংশ এমন—

বড় হয়ে লজ্জা হয়েছে দ্বিগুণ। সে শাড়ি পরেছে বারোহাত, চোখের

এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

[আটত্রিশ : স্বপ্নবৃত্তান্ত, স্বপ্নবৃত্তান্ত, সুহিতা সুলতানা]

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন : পলক

দগদগে ক্ষতের যে পুঁজ তার গন্ধে তৃতীয় ভূগোলের দুই-তৃতীয়াংশ যৌবন আফিমের

এ কথাগুলো কতটুকু যথার্থতা তা বিচার না করে বলা যায় শব্দের মাধ্যমে ভাব ও ছন্দের সুষম বিন্যাসই কবিতা। গদ্য কবিতার কথায় আসি। নেহায়েত গদ্যের কথার মধ্যেও যে অন্যবিধ দ্যোতনা আছে সেটা নীরেন্দ্রনাথ একই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের দুটি গল্প যথাক্রমে ‘একরাত্রি’ ও ‘ত্যাগ’থেকে কিছু পঙ্ক্তি তুলে এনে দেখিয়েছেন। পঙ্ক্তিগুলো এখানে উল্লেখ করলাম— “তখন প্রলয়কাল,তখন আকাশে তারার আলো ছিল না এবং পৃথিবীর সমস্ত প্রদীপ নিবিয়া গেছে— তখন একটা কথা বলিলেও ক্ষতি ছিল না— কিন্তু একটা কথাও বলা গেল না। কেহ কাহাকেও একটা কুশলপ্রশ্নও করিল না। কেবল দুইজনে অন্ধকারের দিকে চাহিয়া রহিলাম। পদতলে গাঢ়কৃষ্ণ উন্মত্ত মৃত্যু¯্রােত গর্জন করিয়া ছুটিতে লাগিল” এবং read more “কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী। অন্ধকার রাত্রি। পাখি ডাকিতেছে না। পুষ্করিণীর ধারের লিচুগাছটি কালো চিত্রপটের উপরে গাঢ়তর কালির প্রলেপের মতো লেপিয়া গেছে। কেবল দক্ষিণের বাতাস এই অন্ধকারে অন্ধভাবে ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, যেন তাহাকে নিশিতে পাইয়াছে।”

পুতুর তৈরি হয় পরিষ্কার এঁটেল মাটি দিয়ে।

২০২৪ সর্বসত্ব সংরক্ষিত

কবিতা কেবল ভাষাসর্বস্ব কঙ্কালমাত্র নয়। অনেকটা আপন অস্তিত্বকে খুঁড়ে তুলে আবিস্কার করে নেবার মতো এক মনোভাষা, মানগঠন, রুচিগঠন ও বাচনসৌন্দর্য সৃজন। শৈলীদক্ষতা ও গুনাবলি নতুন এবং সপ্রাণ। নতুন ধারার কবি অজ্ঞাত ফলের কাঁদি কাঁধে নিয়ে নুয়ে পড়ে। বস্তু ও বর্তমান লয়ে কবির খেলা প্রেম, দ্রোহ, দুঃখ, বেদনা, সুখবোধ, বিরহ এবং অভিমান। ধর্ম-অধর্ম এবং উৎসব ও অভিসার ফুটিয়ে তুলতে পারা যায় কবিতায়। কবি ফাহিম ফিরোজ এর ভাতঘুম নতুন ধারার প্রথম সোপান, অনবদ্য।পুরাতত্ত্ব, দর্শন, ঐতিহ্য আর বাংলা জাতির শেকড় তথা লোকজ ভাষার মিশেলে প্রাচুর্যময় এক শতাব্দীর বাঁক। কোথাও কোনো ঘাটতি নেই, বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত এই নতুন ধারার ইস্তেহার। আগামী একশ বছর সাহিত্যে টিকে থাকার মতে মহত্ত্বময়। বাংলা সাহিত্য জগত এখন লেজুড়বৃত্তির লেবাসে আটকা। ফলে অভাগা এই জাতির সাংস্কৃতিক মুক্তি রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পদদলিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পরিবর্তনের স্বতঃস্ফূর্ততাকে যারা স্বীকার না করে নির্দিষ্ট তথা আধুনিক ছকের বা গন্ডির মধ্যে কবিতা লিখে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে কালের অতল গর্ভে। নতুন ধারা দিছে তাই আধুনিকের মুখে ছাই!

এটি সীমিত দৈর্ঘ্যের কোরীয় কবিতা। সাধারণত ৪ পংক্তিতে লেখা হয়। ক্বাসিদা[সম্পাদনা]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *